দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা, দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে যে খোলা চিঠি দিয়েছেন তা প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পেয়েছে। অনেক চ্যানেলের টকশোতে বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলেও খোলা চিঠির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। চিঠিটি বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে লেখা হলেও প্রচ্ছন্নভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশেও কিছু স্পর্শকাতর বার্তা আছে। তবে বেগম খালেদা জিয়াকে সংকট থেকে উত্তরণের কিছু দিক-নির্দেশনা দিলেও চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংকট থেকে উত্তরণের কোনো পথের সন্ধান দেননি ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আমরা সবাই জানি, জাফরুল্লাহ চৌধুরী কোনো দলভুক্ত ব্যক্তি নন। তবে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের চেয়ে রাজনীতি-রাষ্ট্রনীতি নিয়ে তিনি কম ভাবেন না। বিভিন্ন সময় তার বক্তব্য ও ভূমিকা থেকে ধারণাটা অমূলক নয় যে, তিনি বিএনপির প্রতি দুর্বল। তবে কঠোর সমালোচকও। খোলা চিঠিতে তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয়, আলাপচারিতা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মসূচির প্রতি প্রেসিডেন্ট জিয়ার আকর্ষণ এবং তার কর্মসূচিতে (দলের কর্মসূচিতেও) অন্তর্ভুক্তিকরণ, বেগম জিয়ার সঙ্গে প্রথম পরিচয় ইত্যাদি উল্লেখের মাধ্যমে দলটির প্রতি দূর থেকে তার দুর্বলতার কথা প্রকাশ করেছেন। বন্ধুর মতো করেছেন সমালোচনা, বিএনপির অন্ধকার যাত্রাপথে ফেলেছেন ‘চর্টের আলো’।
আমার মনে হয় বিএনপি জাতীয় কাউন্সিল-পরবর্তী কমিটি ঘোষণা, এ নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ, আলোচনা-সমালোচনা, অতীত ব্যর্থতার আলোকে বর্তমান নেতৃত্বের ওপর আস্থা-অনাস্থা, আন্দোলন, নির্বাচন, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে ‘আলো-আঁধারের’ খেলা, দুই দেশের মধ্যকার পানিবিরোধ, ট্রানজিট, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ নানা বিষয়ে বিএনপির ভুলভ্রান্তি এবং ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন খোলা চিঠিতে। বাংলাদেশ প্রতিদিন খোলা চিঠিটির গুরুত্ব বিবেচনা করে তা হু-বহু ছাপিয়েছে গত ২৪ আগস্ট। যে মূল বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নানা প্রসঙ্গ খোলা চিঠিতে এসেছে, আমার কাছে তা বেশ তাত্পর্যপূর্ণ মনে হয়েছে। তার ভাষায় তা ‘…জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর আপনি পরিশ্রম ও ধী-শক্তির বলে দু’দফায় নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বাংলাদেশের ৪-৬ কোটি মানুষ আপনার পক্ষে দাঁড়িয়েছে। তাদের প্রতি আপনার দায়িত্ব আছে।’ জনগণের প্রতি দায়িত্ব পালনে সফলতা-ব্যর্থতা ও সম্ভাবনাকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে চিঠির বিষয়বস্তু। প্রাসঙ্গিকভাবে তারেক রহমানের বিষয়ও উল্লেখ করে তিনি বেগম জিয়ার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনুন। সে দেশে এসে আপনার মতো গুণ, সততা ও পরিশ্রম দিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুক। দুর্নীতি ও গুণ্ডামির মাধ্যমে নয়, জিয়াউর রহমানের মতো সততার ভিত্তিতে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাজনীতিতে আপনার স্থানটা নেওয়ার চেষ্টা করুক।’ তারেক রহমান সম্পর্কে তার বক্তব্যটি স্ব-ব্যাখ্যাত। এতে তারেকের নেতিবাচক ভাবমূর্তির প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে পাঠকদের ধারণা হবে। নিজের প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকাণ্ড এবং প্রতিপক্ষের প্রচার-অপপ্রচারে মানুষ যে তারেক রহমানকে ভাবে, ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী সেই তারেককে চান না, তিনি চান সততা, দেশপ্রেম ও আদর্শবাদিতার প্রতীক এক তারেক রহমানকে— যে তারেক যোগ্যতার সঙ্গে বিএনপি নামক দলটির হাল ধরবেন। প্রেসিডেন্ট জিয়া ও বেগম জিয়ার গুণাবলিকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমানের জন্য দলের কর্ণধার ও দেশের নেতা হওয়ার যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ণয় করে দিয়েছেন তিনি— কোনো ‘বাঁকা চোখের’ পরোয়া না করে। এটা সুপরামর্শই বলতে হবে। জিয়া-খালেদা জিয়ার একজন যোগ্যপুত্র হয়ে তারেক রহমানের বিএনপির হাল ধরায় সুফল-ভাবনাটাও তার বক্তব্যে প্রচ্ছন্নভাবে ফুটে উঠেছে।
দলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চা যে নেই, জাতীয় কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার সমালোচনার মধ্য দিয়ে তিনি স্পষ্ট করেছেন। ঘোষিত কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘সব মনোনয়নদানের জন্য গঠনতন্ত্রে চেয়ারম্যানকে ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। …জাতীয় কমিটিতে ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধী আবদুল আলীম ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্থান অযৌক্তিক ও ভুল সিদ্ধান্ত।’ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলের জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির প্রতি ইঙ্গিত করেই সম্ভবত বলেছেন, ‘সে তো কোনো দলীয় রাজনীতিতে নেই।’ রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন, রাজনৈতিক-সাংগঠনিক কাজে জড়িত নন এমন ব্যক্তিদের ‘নেতা’ বানানোর প্রবণতারই বিরোধিতা করেছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে এমন ইঙ্গিতটাও দিয়ে রাখলেন, রক্তের উত্তরাধিকারের ধারা রাজনীতিতে অব্যাহত রাখলেন বেগম জিয়া— তাও আবার একাত্তরের চেতনাবিরোধী ধারা। বেগম জিয়াকে সরাসরি উদ্দেশ করে ডাক্তার চৌধুরী বলেছেন, ‘আপনার সিনিয়র নেতারা, বিশেষ করে ‘এম’ আধ্যাক্ষরের নেতারা আপনাকে দিয়ে গণতন্ত্র ভঙ্গ করিয়েছেন। যে ক্ষমতা গঠনতন্ত্রে আপনাকে দেওয়া হয়নি সে ক্ষমতা ব্যবহারের মাধ্যমে কর্মীদের মনে ক্ষোভ তৈরি করেছেন। আপনাকে পক্ষান্তরে একরোখা একনায়করূপে চিত্রিত করেছেন।’ কমিটি গঠনে অগণতান্ত্রিক আচরণেরই সমালোচনা করেছেন তিনি। কমিটি নিয়ে দলের অভ্যন্তরেও ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। দলের নীতি-নির্ধারণী স্থায়ী কমিটিতে সুপরিচিত, সর্বজন স্বীকৃত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নেতাদের বাদপড়া বিস্মিত করেছেন সচেতন সব মানুষকে। রাজনৈতিক এবং আদর্শগত কারণে বিএনপির অনেক পুরনো নেতা-কর্মী দল থেকে দূরে। বলা চলে, দলের ভিতর-বাইরে একটা টানাপড়েন চলছে। মূলত এটা স্পষ্টত তা রাজনৈতিক ও আদর্শিক। যারা ক্ষুব্ধ ও হতাশ তারা দুটো চিন্তা করতে পারেন— ১. সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী রাজনৈতিক ধারার বিরোধিতা করে অনেক দিনের প্রিয় দল ত্যাগ করতে পারেন, নতুন দল গড়তে পারেন ২. দলকে শোধরানোর চেষ্টা করতে পারেন দলে থেকেই, দলের ভিতর মতাদর্শগত লড়াই চালাতে পারেন— যদি সে সুযোগ দেওয়া হয়। কেউ একজন ইতিমধ্যে মন্তব্য করেছেন যে, দলের বিক্ষুব্ধরা দলে থাকলেই কী, না থাকলেই বা কী? এরা আসলে রাজনৈতিক পাঠাভ্যাসহীন, ‘রাজনৈতিক স্কুলের বেডরুম’। যে কোনো রাজনৈতিক দলে একজন সাধারণ কর্মী-সমর্থকেরও অনেক মূল্য। যারা এটা বোঝেন না, তাদের দলের উচ্চাসনে বসিয়ে দিলে দলের দুর্দশা রোধ করা সম্ভব হয় না। বিএনপির সংস্কারপন্থিদের কথাই যদি ধরা হয় সেখানে দলের বাইরে এখনো প্রায় পঞ্চাশজন আছেন, যাদের প্রত্যেকের কনস্টিটিউয়েন্সি আছে। অথচ যারা আবোল-তাবোল বলছেন তাদের তা নেই। অর্থাৎ নির্বাচনে লড়ার মতো গণভিত্তিই নেই তাদের। সংস্কারপন্থিদের মধ্যে যারা দলে ফিরেছেন, দলের হাইব্রিডদের কাছে তাদের কোনো মর্যাদা না থাকলেও তাদের বাদ দিয়ে (যারা এমপি ছিলেন) নতুন ‘বাবুদের’ মনোনয়ন দেওয়ার কথা বিএনপি এখনো ভাবছে বলে মনে হয় না। যারা বাইরে আছেন তাদের ঠেকিয়ে রাখতে পারলে তাদের আসনসমূহে গুলশান অফিসের ‘কর্তাবাবুরা’ ছাড়াও আরও কিছু ব্যক্তির মনোনয়ন বাণিজ্য জমে ভালো এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতাহীন ব্যক্তিরা ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে নামের সঙ্গে একটা ক্রেডেনসিয়াল যোগ করতে পারেন যে, তিনি বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক একটা মর্যাদা কিনতে পারেন তিনি। মনোনয়ন ও পদ-পদবি বেচা-কেনার পাইকাররা তেলবাজি করে ওপরে সব ম্যানেজ করে নিতে পারে। জাফরুল্লাহ চৌধুরী কিছু নেতার বেগম খালেদা জিয়াকে তেল মারার কথা স্পষ্ট করেই বলেছেন। খোলা চিঠিতে এতে বিএনপির ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাই ব্যক্ত হয়েছে।
ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আপনার হাতে সময় খুব কম— মাত্র ৯ মাস। মামলা-মোকদ্দমা-সম্ভাব্য দণ্ড ইত্যাদির ব্যাপারে উত্কণ্ঠা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, যোগ্য লোকদের যোগ্য জায়গায় দিন। মানুষের ও রাষ্ট্রের সংকটসমূহ নিয়ে সাহস করে কথা বলুন, মাঠে নামুন, দলকে মাঠে নামান। জনগণকে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সংশ্লিষ্ট করার কৃতিত্ব দেখান। একটা গণজাগরণ সৃষ্টি করতে পারলে আপনি বাঁচবেন, আপনার দল বাঁচবে, বাঁচবে দেশ ও জাতি। ডাক্তার জাফরুল্লার আকাঙ্ক্ষার পেছনে অনুচ্চারিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে একটি ঐক্যবদ্ধ, সুসংহত ও লড়াকু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। জানি না তার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে কিনা। বেগম খালেদা জিয়ার আশু করণীয় কী হওয়া উচিত তাও বলা হয়েছে খোলা চিঠিতে। দলের গঠনতন্ত্র সংস্কার করতে বলেছেন তিনি। নিজের একক ক্ষমতা ছাড়তে বলেছেন বেগম জিয়াকে। গণতন্ত্রের চর্চা করতে বলেছেন দলের অভ্যন্তরে। বাংলাদেশের পানি সমস্যা, বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা, ট্রানজিট-করিডোর গ্যাস-বিদ্যুৎ, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সর্বনাশ উদ্যোগ ইত্যাদি নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিরোধীয় ইস্যুসমূহ সমাধানের জন্য মওলানা ভাসানীর মতো লড়াকু সিপাহসালারের দায়িত্ব নিতে বলেছেন খালেদা জিয়াকে। বলেছেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে। ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী খালেদা জিয়ার উদ্দেশে খোলা চিঠিতে যেসব ব্যর্থতার কথা বলেছেন, ব্যর্থতার সব দায় কিন্তু বেগম জিয়ার একার। রাজনীতির ইতিহাসের একটি সত্য উচ্চারণ হচ্ছে। Leader is he, who knows the way, goes the way and shows the way. বাংলায় বোধহয় এই দাঁড়ায় যে, ‘তিনিই নেতা, যিনি সঠিক পথ চেনেন, সঠিক পথে চলেন এবং অন্যদের সঠিক পথ দেখান।’ বেগম জিয়ার পর তার দলের ‘সিনিয়র নেতাদের’ ভীরুতা, কাপুরুষতা ইত্যাদির প্রশ্নও তুলেছেন বিএনপির এই শুভানুধ্যায়ী। সিনিয়র নেতাদের ভীরুতা, কাপুরুষতার কথা ব্যাখ্যা না করলেও এর কারণ সম্পর্কে তিনি কী ইঙ্গিত করেছেন তা না বোঝার মতো নাবালগ এ দেশের মানুষ নয়।
বিএনপির ওপর জুলুম-নিপীড়নের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি যে বার্তাটি দিয়েছেন তা মনে হয় এই যে, মানুষের মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার এ দেশে অনুপস্থিত থাকার দায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের। কার্যকর বিরোধী দলের অনুপস্থিতি, জনস্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় স্বার্থে বিরোধী দলের কিছু করার অক্ষমতা বা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর প্রতিবন্ধকতায় খারাপ ‘আমলনামার’ ভয়ে বিরোধী দলের আপসকামিতা ক্ষমতাসীন সরকারকে চরম অগণতান্ত্রিক হতে উৎসাহিত করে এবং চিরস্থায়ী ক্ষমতালিপ্সায় ফ্যাসিবাদী পোশাক পরিয়ে দেয়, যার চূড়ান্ত পরিণাম শুভ হয় না কোনো দেশে।
বিএনপির মতো দল ব্যর্থ হতে পারে, জনগণ কিন্তু কোথাও কখনো ব্যর্থ বা পরাজিত হয় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এখন ক্ষমতায়। তাদের চোখে এখন ‘রঙিন চশমা’। সব ‘অবুঝ’ সরকারের চোখেই নাকি তা থাকে। বেগম জিয়া তো এখন ক্ষমতায় নেই। তিনি কি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর চিঠিটি পড়েছেন? অনুধাবন করেছেন? ম্যাডাম, প্লিজ, চিঠিটি পড়ুন। আপনাকে যারা গুলশান অফিসে কার্যত বন্দী করে রেখেছে, তাদের বলুন— চিঠিটি আমাকে পড়তে দাও। এটিও লুকিয়ে রেখো না। বাংলাদেশ প্রতিদিন
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট।
ই-মেইল : [email protected]
পাঠকের মতামত: